ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

ছবিঃ সংগৃহীত

আজ শনিবার (১২ রবিউল আউয়াল) বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। মুসলিম উম্মাহ এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করছে।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ জন্মের আগেই ইন্তেকাল করেন এবং ছয় বছর বয়সে মা আমিনাকে হারান। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।

সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই সময়ে মহান আল্লাহ তাঁকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠান। তিনি তাওহিদের বাণী প্রচার করেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং মানবজাতির জন্য শান্তি, সাম্য, ন্যায় ও মানবিক গুণাবলির সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

মুসলমানরা এ দিন বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। অনেকে নফল রোজা রাখেন, দোয়া-মাহফিল, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ ও দান-খয়রাতের মধ্য দিয়ে মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বাণী

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, এই দিন সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে আনুক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুসংহত হবে এবং ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিত হবে।

প্রধান বিচারপতির বাণী

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, মহানবী (সা.) মানবতার মুক্তি, ন্যায় ও সাম্যের যে শিক্ষা দিয়েছেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, মদিনার সনদের মাধ্যমে নবী করিম (সা.) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যা আজকের বাংলাদেশেও প্রযোজ্য।

বিএনপির নেতাদের বাণী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর দয়া, ক্ষমা, সহিষ্ণুতা, নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ সর্বকালের জন্য অনুসরণীয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান।

জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ আদর্শ অনুসরণ ছাড়া মানবজাতির মুক্তি সম্ভব নয়। তিনি দেশবাসীকে সারা বছর রাসুলুল্লাহর শিক্ষা চর্চা করার আহ্বান জানান।

কর্মসূচি

এ দিন উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!