ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকার জলাশয় বাঁচলেই ঢাকা বাঁচবে: রিজওয়ানা হাসান

আমার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

ঢাকার জলাশয় বাঁচলেই ঢাকা বাঁচবে: রিজওয়ানা হাসান

ছবিঃ সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার জলাশয় রক্ষা না করলে রাজধানীর নগর জীবন ও পরিবেশ বিপন্ন হবে। তিনি বলেন, জলাধার পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই। ঢাকার খাল ও পুকুর উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে, যার সুফল ভরা বর্ষার মৌসুমেও দেখা গেছে। জলাবদ্ধতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

শনিবার নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম (ইউডিজেএফবি) আয়োজিত ঢাকার জলাধার পুনরুদ্ধার: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক সংলাপে এবং বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জলাশয় রক্ষায় জনগণের সচেতনতা ও একতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোলাগঞ্জে পাথর চুরির ঘটনা জনগণের একতাবদ্ধতার কারণে রোধ করা গেছে। আমরা মূল্যবোধের জায়গা থেকে কাজ করছি, তবে লিগ্যাসিতে পিছিয়ে আছি।”

তিনি আরও বলেন, তার সময়ে কোনো বনভূমি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগের সরকারের সময়ে অনেক জায়গায় বন কাটা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)-এ জলাশয়কে বিশেষভাবে সংরক্ষিত হিসেবে দেখানো হয়েছে। কোনো প্রকার ভরাট বা ক্ষতি করা যাবে না। হাওর সুরক্ষা আদেশে হাউজবোট চলাচল ও কৃষি কাজের নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে।

বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. মুসলেহ উদ্দীন হাসান বলেন, রাজধানীর জলাধার উদ্ধারে রাজউক ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিকল্পনার ঘাটতি ও সমন্বয়ের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, রাজউকের কাছে ঢাকার পুকুরের সঠিক তালিকা নেই। জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী পুকুর ও জলাধারের তালিকা তৈরি করে সবার জন্য উন্মুক্ত করা প্রয়োজন।

স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান বলেন, ড্যাপের মাধ্যমে ঢাকা ও আশপাশের ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে। হাউজিং কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যা অপরিকল্পিত নগর প্রসারকে প্রলুব্ধ করছে।

সংলাপের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ, ইউএনডিপির প্রোজেক্ট ম্যানেজার ইয়ুগেশ প্রাধানাং, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি অমিতোষ পাল, সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হেলিমুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হয়। এবারে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৬ জন সাংবাদিককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!