ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাবিতে দ্বিতীয় মাস্টার্সের ভর্তির সুযোগ রাখা হবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

রাবিতে দ্বিতীয় মাস্টার্সের ভর্তির সুযোগ রাখা হবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে কি না—তা নিয়ে আজ রোববার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১১টায় সিনেট ভবনে শুরু হবে এই বৈঠক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কাউন্সিলের সব সদস্যকে সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশেষ বিবেচনায় দ্বিতীয় মাস্টার্সের সুযোগ চেয়ে আবেদন করা নেতারা হলেন—শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার শেখ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না।

আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে আমরা সঠিক সময়ে মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি। তাই আমাদের ন্যায্যতার স্বার্থে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করার সুযোগ দেওয়া হোক।” তারা এই আবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে।

বর্তমান নিয়ম কী বলছে?

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী মাস্টার্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে:

আবেদনকারীর স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
যে বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন, কেবল সে বিভাগেই মাস্টার্সে ভর্তির আবেদন করা যাবে।
অনার্স শেষের পর তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ভর্তির সুযোগ থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক এবং নিজ নিজ বিভাগ কর্তৃক তা পরিচালিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১,০০০ টাকা, যা অনলাইনে জমা দিতে হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—১৯৯০-এর দশকের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাবল বা দ্বিতীয় মাস্টার্স চালু নেই।

রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ছাত্রনেতাদের এই আবেদনের কারণে ক্যাম্পাসে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশের আশঙ্কা—এই সুবিধা চালু হলে নির্বাচনী পরিবেশ জটিল হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, আজকের সভায় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রস্তাব গ্রহণ করলে তা অনুমোদনের জন্য পরবর্তী পর্যায়ে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, “প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থীর আবেদন এসেছে। বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করা হবে। সিদ্ধান্তের পরই বলা যাবে—তাদের দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে কি না।”

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!