ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ডাকসু নির্বাচন: দুই জরিপে ছাত্রশিবির এগিয়ে, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

ডাকসু নির্বাচন: দুই জরিপে ছাত্রশিবির এগিয়ে, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই দিনে দুটি জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দুই জরিপেই ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকার তথ্য উঠে এসেছে।

তবে অন্যান্য প্যানেলগুলো এই জরিপের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি, জরিপগুলো নিরপেক্ষ নয় এবং ছাত্রশিবিরের লোকজন দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। ন্যারেটিভ নামের একটি সংগঠন শনিবার ৫২৬ শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ করেছে। এতে শুধু তিন শীর্ষ পদ—সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, ভিপি পদে নির্বাচনে ভোট দেবেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ ছাত্রশিবিরের সমর্থিত আবু সাদিক কায়েমকে ভোট দেবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেনকে ভোট দেবেন সাড়ে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ভোট বিতরণ কম।

জিএস পদে ভোট দেবেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিবিরের এস এম ফরহাদকে ৩২.৫ শতাংশ, ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারি হামিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরীকে সমানভাবে ১৬ শতাংশ ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এজিএস পদে শিবিরের মুহা. মহিউদ্দীন খান প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট পাচ্ছেন।

প্রত্যেক জরিপে কিছু হলে বাদ পড়েছে। ন্যারেটিভ জরিপে কবি সুফিয়া কামাল হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদল ও বামপন্থী প্যানেলের প্রার্থীরা। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, “শিবিরের নিজের লোকজন এসব জরিপ করে নিজেদের এগিয়ে রেখেছে।” বামপন্থী ও বৈষম্যবিরোধী প্যানেলের প্রার্থীরাও জরিপের স্বচ্ছতার অভাবকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে শুক্রবার সোচ্চার নামের একটি সংগঠন অনলাইনের মাধ্যমে ৯৯১ শিক্ষার্থীর ভোটে ভিপি পদ নিয়ে জরিপ প্রকাশ করেছে। সেখানে শিবিরের প্রার্থীর সমর্থন ৩২ শতাংশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২২ শতাংশ, ছাত্রদলের প্রার্থী ৭ শতাংশ এবং ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো মতামত দেননি।

জরিপের উদ্দেশ্য নিয়ে সমালোচনা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, “নির্বাচনের আগে ভোটারদের মনোজগৎ প্রভাবিত করার জন্য এ ধরনের জরিপ করা হয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।”

ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর, যেখানে প্রচারের শেষ দিন হচ্ছে রোববার।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!