চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ (রবিবার) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি ৩০ ও ৩১ আগস্ট স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪-২৫ সেশনের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যা প্রচারণা ও ‘স্লাট শেমিংয়ের’ প্রতিবাদে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, চবি রেজিস্ট্রার অফিসের এক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত নথি শাখার আরেক কর্মকর্তা, স্থানীয় জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং সাবেক শিক্ষক জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীকে নিয়ে বলা হয়েছে—৩০ আগস্ট রাতে তিনি এক পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে নিজ বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় প্রহরীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। অথচ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্পষ্টভাবে জানান, সেদিন তিনি কোনো পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে যাননি; বরং খাবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেট সংলগ্ন দোকানে গিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ধরনের অপপ্রচার একজন শিক্ষার্থীর সম্মানহানি ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার উদ্দেশ্যেই ছড়ানো হয়েছে। তারা প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু যারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে।”
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “তুচ্ছ ভিসি কল দিলেই খুশি, প্রশাসন নীরব কেন?”, “আমার ভাইয়ের নিরাপত্তা কোথায়?”, “জমিদারের জমিদারি চলবে না চলবে না।” কর্মসূচিতে নানা লিফলেটও প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে, স্থানীয়দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম নিজেকে ‘জমিদার’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয়দের ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ বলে দাবি করেন। তার এই বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :