ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চবি ইতিহাস শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন: শিক্ষক নুরুল হামিদ কাননের লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

চবি ইতিহাস শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন: শিক্ষক নুরুল হামিদ কাননের লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ

ছবি: আমার ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীেরা রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে। ‘ইতিহাস পরিবার’ ব্যানারের অধীনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও সম্মানের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “শিক্ষকের লাঞ্ছনা, মানি না মানবো না”, “মববাজের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না”, “লাল সন্ত্রাসীর কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”।

ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ শাহীন আলম বলেন, “আমাদের সম্মানিত শিক্ষক নুরুল হামিদ কানন স্যারকে গতকাল বামপন্থী শিক্ষার্থীরা অযথা লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করেছে। এর প্রতিবাদে আজকের মানববন্ধন আয়োজন করেছি। ৩১ আগস্ট কানন স্যারের ভূমিকাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই বিষয়টি তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে পরিষ্কার করেছেন। তারপরও তাঁকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক আচরণ ও মব করার চেষ্টা হয়েছে, যা আমাদের গভীরভাবে দুঃখিত করেছে। আমরা ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে, শিক্ষার্থী সাজেদুর রহমান মারুফ বলেন, “গতকাল আমাদের প্রিয় শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে মব গঠন করে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রশাসন ঘটনার পরও কার্যকর ব্যবস্থা নেনি। যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন ব্যর্থ হলে তাদের এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই।”

শিক্ষক নুরুল হামিদ কানন নিজেও ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “ ৩১ আগস্টের ঘটনার সময় আমার স্ত্রীর জটিল অপারেশন হওয়ায় আমি ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে গিয়েছিলাম। তারপরও ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছি। ক্যাম্পাসে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সমাধানের চেষ্টা করেছি। তার পরেও আমাকে এভাবে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে লাঞ্ছিত করা দুঃখজনক।”

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ যারা, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে।

আমার ক্যাম্পাস/ মাহমুদা মতিন মিনা

Link copied!