জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়(জবি) ডিবেটিং সোসাইটি JnUDS ১৭ তম কর্মশালার আয়োজন শেষ করল আজ ০৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার)।
JnUDS (জেএনইউডিএস) প্রত্যেক এই বার্ষিক বিতর্ক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী।
কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতিসংঘের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট এবং আন্তর্জাতিক মানের বিতার্কিক আহমেদ ইমতিয়াজ সামাদ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক - রাগীব আঞ্জুম এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক মুবিন মজুমদার।
অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ডিবেটিং ক্লাবের সাবেক সভাপতি - মাহমুদুল হাসান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের JnUDS (জেএনইউডিএস) ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির।
কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন জবি ডিবেটিং সোসাইটি (JnUDS)এর মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ নূরুল্লাহ।এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন, উক্ত সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান।
জানা গেছে, ৫ মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউডিএস)ডিবেটিং সোসাইটি পঞ্চম বারের মতো কর্মশালাটির আয়োজন করেন। ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে বলেন, "সোসাইটিতে সর্বশেষ কমিটি ছিলো ২০২২ সালে। যদিও তা পাতানো নির্বাচনের কমিটি ছিল। সে সময়, সাধারণ বিতার্কিকদের থেকে ছাত্রলীগের আধিপত্যবাদের চর্চা বেশী করা হতো এবং কি নারী বিতার্কিকরাও সোসাইটিতে নিরাপদ বোধ করতো না। তাও বলা যায়, প্রায় দীর্ঘ ৩ বছর সোসাইটি অচল ছিলো। এছাড়া, নিয়মিত নির্বাচন না হওয়ায় সোসাইটির কার্যক্রমও প্রায় স্থগিত হয়ে গিয়েছিল"।
তিনি আরো বলেন, "এখন আমরা সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাধারণ বিতার্কিকদের জন্য ডিবেটিং সোসাইটিকে একটি কার্যকরী ক্লাবে পরিণত করার চেষ্টা করছি"। বিতার্কিকরাও সাড়া দিচ্ছে- আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের উদ্দেশ্য- মান সম্পন্ন বিতার্কিক তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করা।
সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি শুধু বিতর্ক নিয়ে নয়, বিতর্কের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন যৌক্তিক আন্দোলনগুলোতে নিজেদের আওয়াজ যৌক্তিক আওয়াজ সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারে তা নিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে৷ আজকে উদ্ভোদনী বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জকসু ও সম্পূরক বৃত্তি আমাদের অধিকার। আমাদেরকে এটা নিয়ে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
অন্যদিকে, অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকরাও JnUDS (জেএনইউডিএস) এর নিয়মিত প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম দেখে উচ্ছ্বসিত। অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে ১৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী সারা ইসলাম (অর্থনীতি বিভাগ) বলেন," নিয়মিত আয়োজনে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি স্বীকৃত স্বরূপ সার্টিফিকেটগুলো সংগ্রহ করছি যেগুলো আমাদের ভবিষ্যতে নানান কাজে আসবে।"
আপনার মতামত লিখুন :