বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালের ম্যাচ শুরুর আগে মন্তব্য, “রিয়াল মাদ্রিদ চুরি করে আর অভিযোগ করে”, রিয়াল মাদ্রিদকে চটে দিয়েছিল। ম্যাচ শুরুর আগে রিয়াল তারকা দানি কার্ভাহালও এই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ইয়ামাল যখনই বলের স্পর্শ পেলেন, তখন দর্শকরা উত্তেজনায় গর্জে উঠলেন। ম্যাচ শেষে শেষ বাঁশি বাজার পর যে ঘটনা ঘটলো, তা উত্তেজনার সীমা ছাড়িয়ে যায়। রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ ব্যবধানে জয়ী হলেও, শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা মূলত মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি ও তর্কের কারণে।
রেফারি সিজার সোটো গ্রাদো শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার পেদ্রিককে লাল কার্ড দেখান। এছাড়া রিয়ালের অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান, এবং ভিনিসিয়ুস প্রথম হলুদ কার্ড পান। ঘটনাপ্রবাহে ডাগআউটেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিনিসিয়ুস বার্সার খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে, এরপর ইয়ামালকে লক্ষ্য করে কার্ভাহাল ইশারায় কিছু বলেন। ইয়ামাল এগোতে চাইলে তাকে থামান রিয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
পরবর্তীতে দুই দলের অন্যান্য খেলোয়াড়ও সেখানে চলে আসেন এবং হাতাহাতি দেখা যায়। ভিনিসিয়ুস ইয়ামালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কী ব্যাপার! শুধু ডিফেন্ডারদের কাছে বল পাঠিয়েছি।”
রেফারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশৃঙ্খলার ঘটনায় মোট ছয় খেলোয়াড় হলুদ কার্ড এবং একজনকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। হলুদ কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফেরান তোরেস, আলেহান্দ্রো বালদে, ফারমিন লোপেজ, রদ্রিগো এবং এদার মিলিতাও। রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন সরাসরি লাল কার্ড পান।
বার্সার মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ম্যাচ শেষে বলেন, “আমি পুরো পরিস্থিতি দেখিনি, তখন বেঞ্চে ছিলাম। দেখলাম অনেক লোক জমেছে। শেষ বাঁশি বাজানোর পর রিয়ালের খেলোয়াড়রা ইয়ামালের দিকে এগোচ্ছে, এটা কিছুটা অতিরঞ্জিত হয়েছে।”
রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানডফস্কি অনুপস্থিত থাকায় ইয়ামাল পুরো ম্যাচে পুরোপুরি স্বাধীনভাবে খেলতে পারেননি। তিনি কেবল দুটি শট নেন এবং দুটি সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হন।

আপনার মতামত লিখুন :