বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে বেশ কিছু সন্দেহজনক ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল। ম্যাচ চলাকালে ইচ্ছাকৃত নো বল করা, অস্বাভাবিকভাবে বড় ওয়াইড দেওয়া, কিংবা ইচ্ছাকৃত ধীর ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ম্যাচ হারার মতো আচরণে সংশ্লিষ্টতা—এমন অভিযোগ উঠেছিল কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ইতোমধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বিসিবির কাছে জমা দিয়েছে। তদন্তে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে শুধু খেলোয়াড়দের আচরণ নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনা, চুক্তি বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায়ও একাধিক দুর্বলতার দিক তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটি ৯০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ডের কাছে দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু দুর্নীতির ঘটনার কথা কমিটি উল্লেখ করেছে। বিপিএল পরিচালনায় অনেক ঘাটতির কথা বলা হয়েছে এবং আগামীতে যাতে সুষ্ঠুভাবে বিপিএল পরিচালনা করা যায়, সেজন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, তদন্ত একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে কারণে তদন্তের সততা রক্ষার্থে এখনই সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নিয়ে বিসিবি থেকে আপাতত কোন মন্তব্য করা হবে না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিবরণীও প্রকাশ করবে না। বোর্ড কমিটির সুপারিশগুলো বিবেচনা করবে এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন ধারা মেনে, যে সমস্ত জায়গায় আরও তদন্ত দরকার সেখানে তদন্ত করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি এ-ও জানিয়েছে, বিসিবি একজন স্বাধীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইন্টিগ্রিটি ইউনিট (বিসিবিআইইউ) নামে একটি স্বাধীন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিসিবি স্বচ্ছ, নিয়ম-ভিত্তিক সংস্কার এবং খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও ভক্তদের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তদন্ত কমিটিকে ধন্যবাদ দিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, তারা মনে করছে কমিটি স্বাধীনভাবে তদন্ত করেছে এবং তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

আপনার মতামত লিখুন :