বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নির্মমভাবে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে যান। সেখানে আবরারের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেন এবং গভীর আবেগে কেঁদে ফেলেন ভিপি সাদিক। এ সময় তিনি আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।
তার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। জিয়ারত শেষে তারা আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন ও বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
মোনাজাত শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন ভিপি সাদিক কায়েম। এরপর প্রতিনিধি দলটি কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হল থেকে ডেকে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। পরে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতের রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন :