হংকংয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্রয়ের বদলে হারের বেদনাটা এখনো কাটেনি বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের। সেই ব্যথার সঙ্গে যোগ হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ—যার মূল নিশানা জাতীয় দলের কোচ ক্যাবরেরার দিকে। দর্শক ও সমর্থকদের অভিযোগ, ম্যাচে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোচের কৌশলগত ভুল, একাদশ গঠনে অনিশ্চয়তা এবং খেলোয়াড় পরিবর্তনে দূরদর্শিতার অভাবই দলের হারের বড় কারণ।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে কোচ ক্যাবরেরা বদলি হিসেবে নামান শামিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম, জায়ান আহমেদ ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। বেঞ্চ থেকে নেমে চারজনই দারুণ পারফর্ম করেন—শামিত গোল করেন, জামাল একটি গোলের অ্যাসিস্ট দেন, আর অভিষিক্ত জায়ান নিজের পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন।
শেষ মিনিটে এই চারজনের নেতৃত্বে ঝড় তোলে বাংলাদেশ। ৩–১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩–৩ সমতায় ফেরে দল। কিন্তু রক্ষণের দুর্বলতায় শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয়-ড্র দুটোই হাতছাড়া হয়।
তবু সময় নষ্টের সুযোগ নেই। হারের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই হামজা, জামালরা রওনা দেন হংকংয়ের পথে। আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ।
শুক্রবার হংকং যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তিনি জানান, আগামি ম্যাচে বদলি হিসেবে দারুণ পারফর্ম করা শামিত, ফাহামিদুল ও জায়ানকে নিয়েই তিনি একাদশে খেলতে চান।
জামাল বলেন, “আমি, শামিত, ফাহামিদুল, জায়ান যখন একসঙ্গে ওয়ার্মআপ শুরু করেছিলাম, তখন বলেছিলাম—আমাদের নামতেই হবে ম্যাচের গতিপথ পাল্টাতে। আমাদের চারজনের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। পরের ম্যাচে আমরা সবাই শুরুর একাদশে খেলতে চাই।”
নিজের খেলায় না থাকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “যখন আমি খেলি না, সেটা ভুল সিদ্ধান্ত—এটাই বলব। আমি সব ম্যাচ খেলতে চাই। তবে কে খেলবে, সেটা কোচের সিদ্ধান্ত।”
শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হারের প্রসঙ্গে জামালের মন্তব্য, “এই দলের একটা ইতিহাস আছে—আমরা শেষ মুহূর্তে গোল খাই। ম্যাচের আগে আমরা আলাপ করেছিলাম, পুরো ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। কিন্তু পারিনি।”
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী অধিনায়ক বলেন, “আমাদের হাতে এখনো তিনটা ম্যাচ আছে। তিনটাতেই জিততে হবে। এক পয়েন্ট হারালেই বিদায়। জেতা অসম্ভব নয়। সমর্থকদের ধন্যবাদ, আমরা ওদের ৩ পয়েন্ট দিতে চেয়েছিলাম, পারিনি। ইনশাআল্লাহ সামনে কিছু দিতে পারব।”
আপনার মতামত লিখুন :