যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনকারী জাহাজের ওপর অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু করেছে। খেলনা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল—সব ধরনের পণ্যবাহী জাহাজের ওপরই এই ফি প্রযোজ্য হবে। এতে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র আকার নিচ্ছে।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, গত সপ্তাহে চীন তাদের রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি দেন। তবে সপ্তাহান্তে উভয় পক্ষই কিছুটা শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, দুই দেশের আলোচক দলের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত আছে এবং সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।
চীন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন, পরিচালিত বা নিবন্ধিত জাহাজের ওপর এই বিশেষ ফি প্রযোজ্য হবে। তবে চীনে নির্মিত জাহাজগুলোকে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া খালি জাহাজ যেগুলো মেরামতের জন্য চীনা শিপইয়ার্ডে প্রবেশ করবে, সেগুলোও ফি থেকে মুক্ত থাকবে। এই ফি প্রতি যাত্রায় প্রথম বন্দরে বা বছরে প্রথম পাঁচটি যাত্রার জন্য প্রযোজ্য হবে এবং এটি প্রতিবছর ১৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, চীনা মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজের ওপর অতিরিক্ত ফি আরোপ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :