দীর্ঘ ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবাসিক হলের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। অবশ্য এবার ডাকসু নির্বাচনে ব্যালটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাকসুর (কেন্দ্রীয় সংসদ) ৫ পৃষ্ঠার ব্যালট আর হল সংসদের জন্য থাকছে ১ পৃষ্ঠার ব্যালট। ভোট দিতে হবে Optical Mark Recognition (OMR) শিটে। কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদের জন্য ২টি পৃথক ব্যালট বাক্স থাকবে। কোনোমেতই ব্যালট পেপার ভাঁজ (Fold) করা যাবে না।
তথ্য বলছে- এ বছর ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮ টি হল সংসদে মোট ১৩ টি করে পদে নির্বাচন হবে। সুতরাং হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১০৩৫ জন। সবমিলিয়ে ডাকসু নির্বাচনে এবার একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।
অবশ্যই ভোটারকে তার সংশ্লিষ্ট পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। ভোটার যদি ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থী হয় তাহলে তাকে লাইব্রেরি কার্ড বা পে ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। অন্য কোনো বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তাকে নিজস্ব হলের আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।
পরিচয় নিশ্চিতের পরই একজন ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালি’র দাগ দেবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। ভোটারকে তালিকায় নিজের নামের পাশে সই করতে হবে। এরপর পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার নাম্বার জানাতে হবে। ব্যালট নিয়ে ভোটার প্রবেশ করবেন গোপন ভোট কক্ষে। মোবাইল বা কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। ভোটারকে নিজ দায়িত্বে ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নাম্বার খুঁজে বের করতে হবে। তিনি পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস (x) চিহ্ন দিবেন। এসময় অবশ্যই খেয়াল করতে হবে যেন ক্রস চিহ্নটি ঘরের বাইরে না যায়। ভোট দেওয়া শেষে ব্যালট পেপার বাক্সে জমা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে- যেসব ভোটারের চোখের দৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা আছে তবে ব্রেইল পড়তে পারেন, তাদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা থাকছে। অবশ্য যারা ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে অন্য সবার মতোই ভোট দিতে পারবেন। ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর একটি তালিকা নির্বাচন কমিশন পেয়েছে। এসব শিক্ষার্থীই কেবল ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত পোলিং কর্মকর্তারাও তাদের সাহায্য করবেন।
তবে ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের পদ্ধতিতে ডাকসুর ব্যালট পেপার হবে ৩০ পাতার, যা একটি পাতলা বুকলেটের মতো। ডাকসুর ব্রেইল ব্যালটের শুরুতে পদের নামসহ একটি সূচিতপত্র থাকবে, যেখান থেকে ভোটাররা ব্যালটের কোন পাতায় কোন পদের তালিকা আছে, সেটি সহজেই খুঁজে পাবেন। আর হল সংসদের ব্যালট হবে ৩/৪ পাতার।
আপনার মতামত লিখুন :