বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা—এই তিন দফা দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। টানা কয়েকদিনের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের পর এবার তারা চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—আজ (বুধবার) প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তিন দফা থেকে এক দফা, অর্থাৎ জাতীয়করণের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, “আজকের (বুধবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তিন দফা থেকে এক দফা জাতীয়করণের আন্দোলন শুরু হবে।”
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে হাইকোর্টের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে একই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকরা জড়ো হতে শুরু করেন। হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘বেতন বৈষম্য দূর করো’, ‘শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করো’, ‘ন্যায্য দাবি মানতে হবে’। শহীদ মিনার এলাকায় সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, সরকারের উদাসীনতার কারণেই তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো সত্ত্বেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা আর অপেক্ষা করতে চান না। তাদের হুঁশিয়ারি, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে শাহবাগ অবরোধ করা হবে।
এক শিক্ষক নেতা বলেন, “আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এই সহযোগিতাকে যদি দুর্বলতা মনে করা হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করব। পুলিশি বাধা বা হামলা হলে তার জবাবও শিক্ষক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে দেবে।”
উল্লেখ্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে
আপনার মতামত লিখুন :