ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়লেন তাকাইচি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়লেন তাকাইচি

ছবিঃ সংগৃহীত

জাপানের রাজনীতিতে রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়। দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। এ খবর জানিয়েছে দ্য জাপান টাইমস

প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর সভাপতি তাকাইচি নিম্নকক্ষের নির্বাচনে ২৩৭ ভোট পেয়ে সহজেই বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি)-এর নেতা ইয়োশিহিকো নোডা পান ১৪৯ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর পার্লামেন্ট সদস্যরা তাকাইচিকে অভিনন্দন জানান এবং করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোমবার এলডিপি ও জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি)-এর মধ্যে হওয়া জোট তাকাইচির জয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই জোট বিরোধী দলের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো কার্যত নিরসন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকাল থেকে তাকাইচি তার মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেন। জানা গেছে, জেআইপি থেকে কোনো সংসদ সদস্য নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন না। তবে দলীয় সভাপতি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নতুন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি, সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি এবং কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি নতুন মন্ত্রিসভায় ভূমিকা পেতে পারেন। হায়াশি ও কোইজুমি মঙ্গলবার সকালে শিগেরু ইশিবার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন, যা তাকাইচির নতুন প্রশাসনের পথ সুগম করেছে।

দলীয় প্রচারণার সময় তাকাইচি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকার গঠনের সুযোগ পেলে নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করবেন। ফলে তার মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, জেআইপি-র পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স প্রধান তাকাশি এন্ডো তাকাইচির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে।

দীর্ঘ ৩০ বছরের সংসদীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সানায়ে তাকাইচি পূর্বে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে তিনি এলডিপি সভাপতি নির্বাচিত হন, যা ছিল তার তৃতীয় প্রচেষ্টা।

বিশ্লেষকদের মতে, তাকাইচির এ ঐতিহাসিক বিজয় শুধু জাপানের রাজনীতিতেই নয়, পুরো এশিয়া অঞ্চলে নারী নেতৃত্বের অগ্রযাত্রায় নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তার নেতৃত্ব নারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়াবে এবং জাপানি সমাজে লিঙ্গসমতার নতুন বার্তা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!