আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকসু নির্বাচন এবং নিজেদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রতিনিধি সাফখাত হান্নানা ইফাত । তিনি জানান, জুলাইয়ের আগে এবং পরে তাদের অবস্থানের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
সাফখাত হান্নানা ইফাত বলেন, "আমরা জুলাইয়ের আগেও ছিলাম, পরেও ছিলাম, কিন্তু সম্পূর্ণ প্রকাশিত হওয়ার জন্য আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তৈরি থাকতে হয়। সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আনুষঙ্গিক সরঞ্জামগুলো তৈরি হয় না।" তিনি বলেন, "আগের প্রশাসন আমাদের জন্য বৈরী পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। ছাত্রসংস্থাকে জঙ্গি সংগঠন, মৌলবাদী বা হিজাবি-নিকাবি বলে বিভিন্নভাবে সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল।"
তিনি আরও বলেন, "২০১৬ সালে কিছু ইসলামী বইপত্র পাওয়ার অভিযোগে আমাদের রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল এবং পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালেও প্রীতিলতা হলে আমাদের এক বোনকে শুধু ছাত্রী সংস্থা করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই ধরনের নানা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা কোণঠাসা ছিলাম, তাই আমাদের পক্ষে প্রকাশ্যে আসা সহজ ছিল না। তবে এখন দিনে দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, যার ফলে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে আসছি।"
বর্তমান প্রশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, "বর্তমান প্রশাসন কিছুটা শিক্ষার্থী-বান্ধব, তবে পুরোপুরি তা বলা যাচ্ছে না, কারণ আমরা তাদের দিক থেকেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে এটি নিশ্চিত যে এই প্রশাসন বিগত প্রশাসনের চেয়ে নারী ও শিক্ষার্থী-বান্ধব।"
সাফখাত হান্নানা ইফাত আরও বলেন, "আমরা বিভিন্ন শিক্ষার্থী-বান্ধব কাজ অতীতেও করে এসেছি, কিন্তু বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাইনি। আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো বড় পরিসরে পেতে এবং আমাদের অধিকারগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা আগামী চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।"
তিনি মনে করেন, নারীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই তারা নারীদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবেন। তিনি জানান, বর্তমানে তাদের প্যানেল তৈরির কাজ চলছে এবং খুব শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :