ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরে শুরু, বহুনির্বাচনি প্রশ্নে মূল্যায়ন

আমার ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরে শুরু, বহুনির্বাচনি প্রশ্নে মূল্যায়ন

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, গত বছরের মতো এবারও অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে নেওয়া হবে।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, “গতবার ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও একই পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”

ভর্তি পদ্ধতির বিবর্তন
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এরপর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেবল এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রায় আট বছর পর, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পুনরায় লিখিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়। এবারও সেই পরীক্ষার পদ্ধতি বহাল থাকবে।

পরীক্ষার ধরন ও মূল্যায়ন
ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে, সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর পাওয়া যাবে, তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না।
বিজ্ঞান, মানবিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ব্যবসায় শিক্ষা—এই তিন শাখার জন্য প্রশ্নের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন থাকবে। বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, সাধারণ জ্ঞান ২০ এবং শাখাভিত্তিক বিষয় থেকে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন করা হবে। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫।

মেধা তালিকা প্রণয়নে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল যুক্ত হবে। এসএসসি পরীক্ষার জিপিএ থেকে ৪০ নম্বর (৪০%), এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ থেকে ৬০ নম্বর (৬০%) এবং ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ভর্তিযোগ্য আসন ও কোটা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের মোট ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে, যার মধ্যে ২৬৪টি সরকারি ও ৬১৭টি বেসরকারি। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। আর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস) কোর্সে আসন সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি।

প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন সংরক্ষিত থাকবে বিভিন্ন কোটার জন্য—এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩টি, আদিবাসী কোটা ১টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১টি এবং পোষ্য কোটা ৩টি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত সময়সূচি ও নির্দেশনা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!