ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

এসএসসির সময়সূচি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করল ইসি

আমার ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫

এসএসসির সময়সূচি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করল ইসি

ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এ সময়ে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হলে তা যেন নির্বাচনের তারিখের সঙ্গে সংঘর্ষে না পড়ে—এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সতর্কতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই নির্দেশনার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে যেসব সরকারি কার্যক্রম পরিকল্পনায় নেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে শিক্ষাবোর্ডের পাবলিক পরীক্ষার সময় নির্ধারণও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে।

এদিন নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ভোটকেন্দ্রের অবকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বাজেট বরাদ্দ এবং কেন্দ্র এলাকায় রাস্তা সংস্কারসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, মাঠপর্যায়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও সংস্কারে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থার নজরে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অনুরোধ—যেখানে কেন্দ্রে সমস্যা আছে, সেখানে দ্রুত মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হোক। ফেব্রুয়ারির আবহাওয়া সাধারণত সুবিধাজনক হলেও কেন্দ্রগুলো আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।”

তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র হবে, সেগুলো আগেই প্রস্তুত রাখা হয় এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় নিশ্চিত করা হয়।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। লক্ষ্য হলো অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পরিচালনা করা।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!