ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

কোচিংয়ে যেতে গিয়ে অপহরণ ঢাবি শিক্ষার্থী, ভিডিও বার্তায় ঘটনার বিবরণ দিলেন নিজেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫

কোচিংয়ে যেতে গিয়ে অপহরণ ঢাবি শিক্ষার্থী, ভিডিও বার্তায় ঘটনার বিবরণ দিলেন নিজেই

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র এস এম আল জুবায়ের দাবি করেছেন যে গত ২০ অক্টোবর গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল যাওয়ার পথে কোচিং সেন্টার যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়েছেন। দুই দিন পর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় তিনি নিজেই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

জুবায়ের জানান, গাজীপুর বাইপাস নিকটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় প্রথমে একজন মাঝবয়সী ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে আলাপ করেন; পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে এবং কাছে parked একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাসে তিন-চারজন ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। সেখানে তাঁকে হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর করা হয় এবং তাঁর মোবাইল ও মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয়। অপহরণকারীরা তাঁর নগদ, বিকাশ ও এটিএম পিন চাইলে তিনি বাধ্য হয়েই পাসওয়ার্ড দেন; পরে বিকাশ থেকে নয়শত টাকা ও নগদ সাগে ছয় হাজার টাকা ট্রান্সফার হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তার ব্যাগে থাকা সাত-আট হাজার টাকা ও অন্যান্য অর্থও নেওয়া হয়।

জুবায়ের ভিডিওতে বলেছেন যে অপহরণকারীরা তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জেনে নানাভাবে মানসিক চাপ ও শণাক্তমূলক মন্তব্য করেন এবং নির্যাতন করে। নির্যাতনের ভয়ে তিনি একপর্যায়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করেন; কাকা টাকা পাঠানোর পরও মুক্তি পেতে আনুমানিক দেড় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে গাজীপুর-চন্দ্রা থেকে সাভারের দিকে একটি ইউ-টার্নে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি ঢাকায় যেতে সক্ষম হন। ফিরে এসে বন্ধুদের সহযোগিতায় ইবনে সিনা হাসপাতালে প্রথমিক চিকিৎসা করানো হয়; তাঁর শরীরে আঘাতের কারণে আঙুল ভেঙে যাওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

জুবায়ের একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল সংসদ ও ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে দুই দিন পার হলেও তেমন কোনো প্রতিনিধি বা প্রশাসনিক সহায়তা পাননি এবং প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা এখনও পাচ্ছেন না। ছাত্রটির অভিযোগে দ্রুত তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন তিনি।

উক্ত ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে জুবায়ের বলেন, আমার মত আরো অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় কোচিং করায় তাদের নিরাপত্তা টা কোথায়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুনলে মনে হয় আরও বেশি মারে। দুই দিন হয়েছে হলে এসেছি, হল প্রসাশন, হলসংসদ বা ডাকসুর কোনো প্রতিনিধি কেউ আমার সঙ্গে দেখা করেনি।

এখন আমার যে আইনি সহায়তা প্রয়োজন তারও কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি আমি নিজেই অনেক অসহায় বোধ করছি, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যেখানে আমি নিরাপদ না সেখানে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা?

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!