ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ডাকাতিয়া নদীর তীরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫

ডাকাতিয়া নদীর তীরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর অবশেষে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের পথে এগোচ্ছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য ৩০ একর জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। যাচাই শেষে জমির শ্রেণি নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব এবং প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকা থেকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি যাচাই করা হয়। পরিদর্শন শেষে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক জানান, এর আগে একবার জমির শ্রেণি যাচাই করা হয়েছিল, এবার আবারও জেলা প্রশাসনের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে স্থানীয় জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত থাকায় সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে প্রাক্কলন তৈরির মাধ্যমে পরবর্তী প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। দ্রুততম সময়ে এই কাজ শেষ করে দুটি মৌজায় মোট ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে, যা চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়ের যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে চলছে। এ পর্যন্ত দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করে চিকিৎসক হিসেবে বেরিয়েছে। অবশেষে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবারই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে এবং জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানও উন্নত হবে।

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হলে স্থানীয় জনগণ উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে এবং জেলা স্বাস্থ্যখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!