ঢাকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা পলিটেকনিকে "ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শোকেসিং কম্পিটিশন" অনুষ্ঠিত

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫

ঢাকা পলিটেকনিকে

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

ZNRF University of Management Sciences এর আয়োজনে এবং Citizens Bank PLC-এর সহযোগিতায়  “Youth Acceleration Program presents "Innovative Project Showcasing Competition” সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি রুমে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা উপস্থাপন করেন।

দিনব্যাপী এই আয়োজনে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি রূপ নেয় এক সৃজনশীল উদ্ভাবন কেন্দ্রে। শিক্ষার্থীরা প্রদর্শন করেন তাদের নিজস্ব তৈরি প্রজেক্ট, যার প্রতিটি বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রযুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রতিফলন।
প্রযুক্তিগত মডেল থেকে উদ্যোক্তা ধারণা—সবখানেই শিক্ষার্থীদের মেধা, দলগত চেতনা ও সৃজনশীলতার অনন্য সমন্বয় ছিল চোখে পড়ার মতো। তরুণ উদ্ভাবকদের এই প্রচেষ্টা শুধু প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ছিল ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও পরিবর্তনের স্বপ্নের এক উজ্জ্বল প্রকাশ।

অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রযুক্তির প্রভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তন আরও দ্রুত হওয়ার জন্য ভবিষ্যতে যেসব প্রযুক্তি ভূমিকা রাখবে তার মধ্যে রোবটিক্স, মেকাট্রনিক্স, মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অন্যতম। প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে ভবিষ্যতে চাকরির বাজারেও অনেক পরিবর্তন আসবে।

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ব্যবহারিক জীবনে প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের দিকে নজর দিতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সবসময় মনুষ্যত্ব, মানবিকতা ও আন্তরিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিষয়ক উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই প্রতিযোগিতায় মোট ২৫ টি প্রজেক্ট অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করে Polytech Innovators। ২য় স্থান অর্জন করেছে Team Karigor, ৩য় স্থান অর্জন করেছে The Robot Boys। এছাড়া ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে Team CSTian এবং ৫ম স্থান অর্জন করেছে Team Single. 

আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে আগ্রহ ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করতেই এই আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, দলগত কাজ, ব্যবহারিক জ্ঞান ও যোগাযোগ দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছে—যা তাদের ভবিষ্যৎ পেশাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পরিশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, Citizens Bank PLC ও Youth Acceleration Program (YAP)-এর নেতৃবৃন্দ। 

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত দক্ষতা, বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ, ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন, দলগত কাজ এবং যোগাযোগের সুযোগ পেয়েছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সহায়তা করবে।

আমার ক্যাম্পাস/আরমান খান ছামির

Link copied!