ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের লং মার্চের ঘোষণা, অধ্যাদেশ না হলে গড়ে তুলবে তীব্র আন্দোলন

আমার ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের লং মার্চের ঘোষণা, অধ্যাদেশ না হলে গড়ে তুলবে তীব্র আন্দোলন

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন; কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৩ অক্টোবর) তারা ‘লং মার্চ টু শিক্ষা ভবন’ পালন করবেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বহু প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অবিলম্বে জারি করা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা এমন এক সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে এক কদম পিছিয়ে আসা মানে বছরের পর বছরের সংগ্রাম, আশা ও আত্মত্যাগকে নস্যাৎ করে দেওয়া। ২০২৪–২৫ পরম্পরায় শুরু হওয়া এ আন্দোলন শুধু দাবির লড়াই নয়—তারা এটাকে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছেন। কলেজ সূত্রে বলা হয়, সরকারি সাত কলেজের ইতিহাসে এত সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত আন্দোলন আগে দেখা যায়নি এবং পরিস্থিতি অবনতিতে গেলে শেষ পর্যায় পর্যন্ত তারা যেতে প্রস্তুত।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ লং মার্চ নিয়ে বলেন, “আমরা ফিরব না, যতক্ষণ না অধ্যাদেশ ঘোষণার সময় চূড়ান্ত করা হয়।”

বাঙলা কলেজের ১৭–১৮ সেকশনের শিক্ষার্থী মুত্তাকি বলেন, অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর খসড়া প্রকাশের পর মতামত জানাতে সাত কর্মদিবস নির্ধারণ করা হলেও পরে সময় বাড়ানো হয়; এরপরও ৯ অক্টোবর মতামত আবেদনের সময় শেষ হলেও শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন—অধ্যাদেশ জারিতে বাধা সৃষ্টি করার নেপথ্য প্রচেষ্টা এখনও চলছে। মুত্তাকি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র রোধের একমাত্র উপায় হলো দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করা। অনিশ্চয়তার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছে। অধ্যাদেশ জারি না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ রবিন জানান, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর সংশোধনের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত অধ্যাদেশ জারি হয়নি এবং কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যার প্রেক্ষিতে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো। রবিন বলেন, “দ্রুত অধ্যাদেশ জারি হলে আমরা পড়াশোনায় ফিরে যেতে পারি; তা না হলে আন্দোলন বাধ্যতামূলকভাবে চলবে।”

শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে রাষ্ট্র দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে তাদের শিক্ষা জীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবেন, আর সেই অবস্থা ফিরে পেলে তারা শান্তিতে পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!