ঢাকার সাত সরকারি কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাবিত কাঠামো বাস্তবায়িত হলে নারী শিক্ষায় বড় ধরণের সংকোচন দেখা দিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এই কাঠামো শুধু নারী শিক্ষার সুযোগ সীমিত করবে না, বরং শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্যও আরও গভীর করবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব উদ্বেগের কথা জানান। সভায় বলা হয়, সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও পদোন্নতি ও বেতন কাঠামোয় তারা চরম বৈষম্যের শিকার।
সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সাত সরকারি কলেজ—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো ও ঐতিহ্য নষ্ট হবে।
শিক্ষকদের মতে, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর ফলে নারী শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার পরিসর সংকুচিত হবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের পদ বিলুপ্তির ঝুঁকিও তৈরি হবে। তারা বলেন, সাত কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের বিরোধিতা নয়, তবে সেটি অবশ্যই পৃথক ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগমসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :