ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইটে হুমকির মুখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫

ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইটে হুমকির মুখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল

ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য স্যাটেলাইট পাঠিয়ে আসছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। বর্তমানে মহাকাশে তাদের প্রায় আট হাজার স্যাটেলাইট সক্রিয় রয়েছে। এসব স্যাটেলাইটের একটি অংশ সময়ের সঙ্গে অকেজো হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের সাবেক গবেষক জনাথন ম্যাকডাওয়েল সতর্ক করেছেন, প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দুটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে ফিরে এসে ধ্বংস হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হলে এই হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তার মতে, বায়ুমণ্ডলের বিশেষ করে ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে, যা ত্বকের ক্যানসার, চোখের ছানি ও অন্যান্য জটিলতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

ম্যাকডাওয়েল জানান, বর্তমানে পৃথিবীর চারপাশে ২৫ হাজারেরও বেশি মহাকাশ আবর্জনা ঘুরছে, যার মধ্যে রয়েছে অকেজো স্যাটেলাইট, রকেটের অংশ ও সংঘর্ষে ভাঙা ধাতব টুকরা। নিম্ন কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলোর গড় আয়ু পাঁচ থেকে সাত বছর। ভবিষ্যতে স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়ালে প্রতিদিন প্রায় পাঁচটি স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরিবেশগত ক্ষতির ঝুঁকি বহুগুণে বাড়াবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) রসায়নবিদ ড্যানিয়েল মারফির নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরোনো স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় অ্যালুমিনিয়াম, লিথিয়াম ও তামাসহ নানা ধাতব কণা ছড়িয়ে দেয়। এসব উপাদান বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট করে ক্লোরিন যৌগ তৈরি করতে পারে, যা ওজোনস্তর ধ্বংসে ভূমিকা রাখে।

গবেষকরা মনে করছেন, এখনই আন্তর্জাতিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ধ্বংস প্রক্রিয়ার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা হলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।

 

সূত্রঃ ডেইলি মেইল

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!