একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ এবার অভিনয় জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা— দুই মাধ্যমেই দারুণভাবে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও, বর্তমানে পর্দায় আর তাকে দেখা যায় না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অভিনয়ে ফেরার কোনো ইচ্ছা আর তার নেই। বরং এখন তিনি ভিন্ন পথে হাঁটতে চান— একটি স্থায়ী চাকরির খোঁজে।
হাসান মাসুদের ভাষায়, “আমি এখন একটা চাকরি করতে চাই— সেটা সাংবাদিকতা, প্রশাসন বা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রেই হতে পারে। ভালো সুযোগ পেলে অভিনয় ছাড়বো স্থায়ীভাবে।”
অভিনয়ের আগে সাংবাদিকতা থেকেই তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল। তাই পুরনো পেশায় ফিরে যাওয়ার আগ্রহের কথাও জানালেন তিনি। “সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছে আছে,” বলেন মাসুদ, “তবে সেটা নির্ভর করছে ভালো কোনো অফার পাওয়া যায় কিনা তার ওপর।”
শুধু পেশা নয়, সমাজ নিয়েও কথা বলেছেন এই অভিনেতা। তার মতে, “বর্তমানে সমাজে পরকীয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আমি চাই মানুষ এই বিষয় থেকে দূরে থাকুক। সৎ ও সত্যনিষ্ঠ থাকলে জীবন অনেক সুন্দর হয়।”
হাসান মাসুদের বহুমাত্রিক জীবনের শুরু সেনাবাহিনীতে। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্যাপ্টেন পদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সাত বছর পর অবসরে গিয়ে পা রাখেন সাংবাদিকতায়। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলায় কাজ করেছেন।
এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার শোবিজে যাত্রা শুরু হয়। পরে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান।
‘হাউস ফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘আমাদের সংসার’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’ এবং ‘বাতাসের ঘর’— এসব নাটকে তার অভিনয় দর্শকদের মনে গভীর ছাপ রেখেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :