হুজুরদের শুধু ওয়াজ-নসিহত করার ভূমিকা দেখলে চলবে না; এই ধারণা পরিবর্তন করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, আলেমরা জ্ঞানচর্চা, সমাজ গঠন এবং দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন ও রাখা উচিত।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার প্রথম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের পাশাপাশি মাদরাসাশিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। “মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং আলেম সমাজের কাছে তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। অতীতে ধর্মীয় অনুশীলনের ওপর যে চাপ ছিল, তার মধ্য দিয়েই আলেম সমাজ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি আধুনিক ও সাধারণ জ্ঞানেও দক্ষ আলেম গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দেশে ধর্মীয় ক্ষুধা প্রবল হলেও যোগ্য মুরুব্বি কম। “সাধারণ মানুষের মাঝে ধর্মীয় চাহিদা অত্যন্ত তীব্র। এই চাহিদা মেটাতে আলেমদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি জানান, দেশের বহু সফল মানুষ তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার শিক্ষা থেকে উঠে এসেছেন। বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলায় আলেম সমাজের ঐক্য ও দৃঢ় অবস্থান প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “তরুণ সমাজকে বিপথগামী করার নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের ও ধর্মের স্বার্থে আলেমদের মাটি আঁকড়ে থাকতে হবে,” বলেন তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ধর্মীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আলেমরা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয়, সব ধর্মাবলম্বীর মাঝে মানবিক চেতনা জাগ্রত করতে পারেন। “এখন সময় এসেছে—যোগ্য ও আলোকিত আলেম তৈরি করে জ্ঞান নেতৃত্বের অভাব পূরণ করার,” মন্তব্য করেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :