আজ ৪ই নভেম্বর জকসুর নির্বাচন কমিশনার বরাবর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন, নিরাপত্তা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের জবি শাখা
স্মারকলিপিতে বলা হয় জকসু নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে নির্বাচনকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে।
তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জকসু নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃঢ় ভূমিকা অপরিহার্য। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা রক্ষা করাই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের মূল শর্ত।
স্মারক লিপিতে উল্লেখিত দফাগুলো হলো:
১. আসন্ন জকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত প্রতিশ্রুত সময়সীমা (২৭ নভেম্বর) মধ্যেই জকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে-কোনো অজুহাতে বিলম্ব করা যাবে না।
৩. নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
৪. নির্বাচনের সময় সকল ছাত্রসংগঠনের জন্য সমান সুযোগ ও আচরণবিধি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে।
৫. ক্যাম্পাসে অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপ বাংলাদেশ জবি শাখার সংগঠক তাওহিদুল ইসলাম বলেন,"জকসু নির্বাচন প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে নির্বাচন পিছানোর কোন কারন নেই।জকসু কোন রাজনৈতিক দলের নির্বাচন নয়।এটি শিক্ষার্থীদের নির্বাচন।তাই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে।"

আপনার মতামত লিখুন :