ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

জকসু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা, মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রসংগঠনগুলো

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫

জকসু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা, মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রসংগঠনগুলো

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

গত ২৭ অক্টোবর অনুমোদন পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নীতিমালা। এর পরপরই গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন আয়োজনের কথা জানিয়েছিল। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। 

এরই মধ্যে জকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

জাতীয় ছাত্রশক্তি, জবি শাখার পক্ষ থেকে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যেকোনো একদিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়,
“জকসু নীতিমালা প্রকাশের পর ২ নভেম্বর ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মাত্র ২৪ দিন পর ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।”


তারা আরও অভিযোগ করেন,“আমরা লক্ষ্য করছি, একটি পক্ষ অতি তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, অন্য আরেকটি পক্ষ আবার নির্বাচন পেছানোর কৌশল নিচ্ছে।”

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির ২৭ নভেম্বরেই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। সেখানে বলা হয়,“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা। প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল।”

গত ৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবি শাখার প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন,“আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শর্তহীনভাবে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে। ডিসেম্বরে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই ২৭ নভেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত সময়।”

অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নির্বাচন তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনের সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবধান রেখে তারিখ নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে। 

এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জবি শাখার পক্ষ থেকেও নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন,“যদি ২৭ নভেম্বর নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন সম্পন্ন করা হোক।”

আমার ক্যাম্পাস/মুজাহিদুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি

Link copied!