জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হামলার ঘটনায় মোট ৪০৩ জনকে শনাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে উঠে এসেছে—এদের সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাবির শিক্ষার্থী, কিছু বহিরাগতও রয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জুলাই আন্দোলনকালীন প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কমিটির সদস্য-সচিব সাইফুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরে প্রকাশিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বহিরাগত থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস কার্যকলাপের তথ্য সংগ্রহে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ১২৮ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে, যার ভিত্তিতে গত ১৭ মার্চের সিন্ডিকেট সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
পরবর্তীতে সিন্ডিকেট আরও একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে। ওই কমিটির দ্বিতীয় সভার প্রতিবেদনে পূর্বের ১২৮ জনসহ মোট ৪০৩ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তদের উদ্দেশে বলা হয়েছে—কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টর অফিসে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে জবাব না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :