ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ধর্মীয় অনুশাসনই নৈতিক সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের মূল ভিত্তি

আরমান খান ছামির

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫

ধর্মীয় অনুশাসনই নৈতিক সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণের মূল ভিত্তি

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

সমাজ ও সভ্যতার নৈতিক অবক্ষয় রোধের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ধর্মীয় অনুশাসন তথা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান মেনে চলা। কেননা এটা যে কোন সমাজ ও সভ্যতার ভিত্তি এবং রাষ্ট্রীয় সুদৃঢ় অবকাঠামো বিনির্মাণের অন্যতম সোপান। মূলত ধর্ম বা জীবন-বিধান নৈতিক দর্শন থেকে শুরু করে প্রত্যয়গত ও সুদৃঢ় অধ্যাত্মবাদের প্রতি মানুষকে সচেতন করে তোলে। সুতরাং যারা বলে, ধর্ম সমাজ ও সভ্যতায় অসহনশীলতার জন্ম দেয়, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। তাদের এ ধারণা প্রতারণাপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।  

ইতিহাসের প্রতিটি সভ্য সমাজে দেখা যায়—যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ছিল শক্তিশালী, সেখানে শান্তি, ঐক্য ও ন্যায়ের চর্চা বিকশিত হয়েছে। বিপরীতে, যখন সমাজ থেকে ধর্মীয় অনুশাসন দুর্বল হয়েছে, তখন সেখানে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা, অন্যায় ও নৈতিক অবক্ষয়।

ধর্ম মানুষকে নৈতিক দর্শন থেকে শুরু করে দৃঢ় বিশ্বাস ও আধ্যাত্মবাদের পথে পরিচালিত করে। তাই যারা মনে করে ধর্ম সমাজে অসহনশীলতার জন্ম দেয়, তাদের ধারণা ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। বরং ধর্মই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা ও মানবিক ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করে।

আদর্শিক জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ধর্ম হলো সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণ প্রক্রিয়ার অন্যতম ও অনিবার্যভাবে প্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গ। একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ও জীবন দর্শন হিসেবে ধর্মীয় বিধানের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা ও সভ্যতাকেন্দ্রিক জটিলতা নিরসন সম্ভব। (ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা, পৃ. ১৪)  

মানুষের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগরিত হলে তাদের দ্বারা কোন খারাপ কাজ সংঘটিত হতে পারে না। কারণ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বার বার অপরাধমূলক কাজের প্রতি ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। আর ভালো ও পূর্ণ কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।  

আল্লাহ তায়ালা বলেন —
“সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর, আর মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।”
(সূরা মায়েদা: আয়াত ২)                                                      

অতএব, মানুষ যদি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে, তবে সেখানে থাকবে না কোনো অসঙ্গতি, বিভেদ বা অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা। বরং প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি, ন্যায়, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার এক আদর্শ সমাজ—যা হবে সত্যিকার অর্থে নৈতিক ও সভ্যতার আলোকে আলোকিত।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!