মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা একটি উল্লেখযোগ্য চাহিদা। শিক্ষা ছাড়া যেমন মানুষের মেধা বিকশিত হয় না, তেমনই বিকশিত মেধা ছাড়া রাজনীতিতে পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করা কঠিন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও রাজনীতিকে পরিপূরক বা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করাটা বরাবরই কঠিন। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। যেমন ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সর্বশেষ ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে; ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।
একজন শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক সচেতনতা এবং দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যক যা ছাত্ররাজনীতি করার প্রক্রিয়া থেকে জানতে শুরু করে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা, এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করে ছাত্ররাজনীতি।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র রাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তি, সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ কে দূষিত করেছে। যদিও শিক্ষা ও রাজনীতি একে অপরের পরিপূরক হতে পারে যদি শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্তভাবে গড়ে তোলা যায়। ছাত্র রাজনীতিকে গঠনমূলক, জবাবদিহিমূলক এবং কল্যাণমুখী কাজে ব্যবহার করলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করি।
লেখক: শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।
আপনার মতামত লিখুন :