দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। তবে শুধু পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে তারা চাইলে প্রথমবর্ষ থেকেই বিভিন্ন গঠনমূলক, সাংস্কৃতিক কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। এসব সংগঠন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, নেতৃত্বগুণ বিকাশ করে এবং জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করে।
গঠনমূলক সংগঠন
ডিবেটিং ক্লাব – যুক্তি, তথ্য বিশ্লেষণ ও দলগত দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া যায়।
আইটি ক্লাব – প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি ও অন্যান্য প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান বাড়াতে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ক্যারিয়ার ক্লাব – কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি, নেতৃত্ব ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। বিভিন্ন সেমিনার, চাকরি মেলা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।
ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব – ইংরেজি পড়া, লেখা, বলা ও শোনার দক্ষতা উন্নত করতে কাজ করে, পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
বিএনসিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর) – নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করে; সামরিক প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচির সুযোগ দেয়।
রোভার স্কাউটস – সামাজিক সমস্যা সমাধান, পরিবেশ রক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে।
বাঁধন – স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে সমাজে মানবিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখে।
সাংস্কৃতিক ক্লাব
মিউজিক ক্লাব – সংগীতচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়ায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
ড্রামা ক্লাব – অভিনয়, মঞ্চ নির্মাণ ও নাট্যকৌশল শেখায়; সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
আর্ট ক্লাব – ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশ করে।
ক্রীড়া বিষয়ক সংগঠন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল ও দাবাসহ নানা ক্রীড়া ক্লাব রয়েছে। এসব সংগঠন শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি দলগত কাজ, নেতৃত্ব ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে তোলে।
প্রথমবর্ষ থেকেই এসব সংগঠনে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারেন, তেমনি একটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল সমাজ গঠনের অংশীদারও হতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :