ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

গবি ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: অভিযানে মিললো ইঁদুর ও বাসি খাবার

গবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫

গবি ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: অভিযানে মিললো ইঁদুর ও বাসি খাবার

ছবি: সংগৃহীত

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্যান্টিনে অভিযান পরিচালনা করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) প্রতিনিধিরা।  বুধবার (২২ অক্টোবর) দুই দফা এই অভিযান পরিচালনা করেন তারা। 

জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের খাদ্যপণ্যের চড়া মূল্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। ক্যান্টিন মালিককে কয়েকদফা সতর্ক করা হলেও কোনো সুফল মেলেনি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, চরম অব্যবস্থাপনা। নোংরা- দুর্গন্ধযুক্ত রেফ্রিজারেটরে একই সাথে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কাঁচা মাংস এবং বাসি ভাত। পলিথিন ফেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাসি তরকারি। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনের এসব খাবার রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। 

স্যঁতস্যেতে স্থানেই চলছে খাবার রান্নার কাজ। ভাত রাখা বাঁশের ঝুড়িতে পাওয়া গেছে ইঁদুর-মাকড়সার জাল। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ম পরিচালনা করেই ক্যান্টিন পরিচালনা করছিলেন ক্যান্টিন মালিক। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেই কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়নি। 

ক্যান্টিনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ক্যান্টিন মালিক আরশাদের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, 'আমি কোন কথা বলবো না। আমি ক্যান্টিন ছেড়ে দিব, ভার্সিটিতে চিঠি দিয়েছি আপনারা তাদের সাথে কথা বলেন।' 

বাসি-পঁচা ভাত-তরকারি সংরক্ষণের বিষয়ে বলেন, 'বাসি খাবার তো খাওয়াই যায়। আমরাও খাই।' 

গকসু'র সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন অন্তর বলেন,  "ছাত্রসংসদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ক্যান্টিনে আসা হয়, এখানে একই ফ্রিজে রান্না করা খাবার ও কাঁচা খাবার রাখা হয়েছে। আমরা বলেছি ফেলে দিতে কিছুক্ষণ পর আবার মনিটরিং করা হবে, যদি তারা ঠিক না করে আজ থেকেই ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

তিনি আরো বলেন, "নির্বাচনের পর আমরা কয়েক বার এসেছে, বলা হয়েছে তাদের কি সমস্যা, পরিষ্কার এর বিষয় নিয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।" 

এ বিষয়ে ক্যান্টিন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমাদের কাছে কোন চিঠি তারা জমা দেননি। গত ৪ সেপ্টেম্বর ক্যান্টিন মালিক ক্যান্টিন ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল এবং আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিল।' 

তিনি আরো জানান, ‘আমরা প্রশাসন, ক্যান্টিন কমিটি ও ছাত্র সংসদের সদস্যবৃন্দ আগামী রবিবার মিটিং করে ক্যান্টিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
 

আমার ক্যাম্পাস/সানজিদা খানম ঊর্মি

Link copied!