ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

চুয়েটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

চুয়েট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫

চুয়েটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে বারটার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শহীদ তারেক হুদা হলের পেছনে ও ড. কুদরত ই খুদা হলের সামনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদলপন্থী দুই গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ঘটনার সময় পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম এবং পুরকৌশল বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাওয়াদুল করিম জামিসহ কয়েকজন আহত হন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থী মো. সিয়াম বলেন, “আমি শহীদ তারেক হুদা হলের ক্যান্টিনে বসে খাচ্ছিলাম, তখন বন্ধু আবির আমাকে কল দেয়। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে কয়েকজন আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে আবির আমার গায়ে হাত তোলে। আমি চলে আসার সময় ওরা আমাকে পেছন থেকে লাথি মারে।” তিনি আরও জানান, সহপাঠী জামি তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আমরা নিরাপত্তার জন্য ড. কুদরত ই খুদা হলে আশ্রয় নিই।”

শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, সিয়াম ও আবির একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে ছাত্রদলের দুই ভিন্ন গ্রুপে যুক্ত থাকায় তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সিয়াম অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতার কারণেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় চুয়েট ছাত্রদলের সভাপতি ওয়াসিফ রাশেদের ভূমিকা থাকতে পারে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াসিফ রাশেদ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। দুই শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদলের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।”

এ বিষয়ে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুম রানা বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।”

উল্লেখ্য, চুয়েটে ছাত্ররাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারীদের সক্রিয়তা রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা মনে করেন, ছাত্ররাজনীতির প্রভাব নিয়ন্ত্রণে না আনলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!