ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

রাবিতে কোরআন পোড়ানো ও মহানবীকে (সা.) কটূক্তি: জড়িতদের শাস্তিসহ ৪ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

আমার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫

রাবিতে কোরআন পোড়ানো ও মহানবীকে (সা.) কটূক্তি: জড়িতদের শাস্তিসহ ৪ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–এর সম্মানহানি ও কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেয় সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো- ১. ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আযোজন করা হোক এবং তদন্ত প্রতিবেদন সর্বসম্মতভাবে প্রকাশ করা হোক।

২. তদন্তক্রমে দোষী ঘোষিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

৩. ঘটনার সাথে জড়িত ফেসবুক/সামাজিক যোগাযোগের আইডেন্টিটি (ফেক/রিয়েল) নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত তদন্ত করা হোক এবং প্রয়োজনীয় হলে সামাজিক মাধ্যম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করা হোক।

৪. বিগত সময়ে কয়েকটি হলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনা এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সম্মানহানির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ–এর এক ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যে দিপ্ত রয় নামের এক শিক্ষার্থী মহানবী (সা.)–কে উদ্দেশ করে “অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন।” পরবর্তীতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্টোরিতে “কালেমা বিকৃতভাবে ব্যবহার করে এবং রাসুল (সা.)–কে সম্মানহানি করে ব্যঙ্গাত্মক বার্তা প্রেরণ করেন।”

এই ঘটনাগুলো ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্রসমাজ “গভীরভাবে আহত ও উদ্বিগ্ন” হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ক্যাম্পাসের সাতটি আবাসিক হলে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। তখন প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস রহমান ফরিদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি পুলিশ প্রশাসন, ডিজিএফআই, সিটিএসবি, এনএসআইসহ যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আছে তাদের সাহায্য নিয়ে আইপি এড্রেস বা লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে সনাক্ত করা সম্ভব। প্রয়োজনে মেটা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই আইডির লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দাবি জানিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি কোরআন পোড়ানোর ঘটনা যেকোনো একক ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব না। এটির পিছনে যাদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতে যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে এজন্য জনসম্মুখে নিয়ে আসা উচিত।”

আমার ক্যাম্পাস/এ এস

Link copied!