ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

আমরা চাই সেনাবাহিনী সকল ধরনের কলুষিত অবস্থা থেকে মুক্ত থাকুক: সারজিস

আমার ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫

আমরা চাই সেনাবাহিনী সকল ধরনের কলুষিত অবস্থা থেকে মুক্ত থাকুক: সারজিস

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, তিনি চান সেনাবাহিনী “সকল ধরনের কলুষিত অবস্থা থেকে মুক্ত” থাকুক এবং সেনাবাহিনীকে স্বতন্ত্র, মর্যাদাশীল অবস্থায় দেখতে চান। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। … আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সবসময় মর্যাদা পূর্ণ অবস্থায় দেখতে চাই।” তবে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু কর্মকর্তা ব্যবহার করে অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন ঘটানো হয়েছে এবং এই ধরনের অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজন। তিনি আরও বলছেন, অ্যায়না ঘর সংক্রান্ত প্রতিবেদনে “এরা এক ধরনের সিরিয়াল কিলার” হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং “শুধুমাত্র একজন অফিসার ১০৩০ জনকে হত্যা করেছে”—এ ধরনের তথ্য তদন্ত-প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত।

সারজিস আলম সেনাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ করে বলেন, তারা যেন এই ধরনের সিরিয়াল কিলারদের দায়িত্ব না নেন এবং যারা এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তাদের “যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায়” হস্তান্তর ও বিচার নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। তিনি জানালেন, এমনকি যে পদেই বা যে প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের অপরাধী কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় তিনি বলেন, এসব ব্যবস্থার অভাব অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ব্যর্থতার একটি দিক—কারণ তারা সময়মতো এই ধরনের ব্যক্তিদের উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে অনেকে ধীরে ধীরে পুনর্বাসিত হচ্ছেন। দলীয় ঐক্য প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, শুরু থেকে এই লড়াইটা দীর্ঘ হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলকেও এতে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

‘সেফ এক্সিট’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলছেন:
‘আপনারা সেফ এক্সিট বলতে যেভাবে বুঝছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। আমরা বলতে চাচ্ছি, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন করা হয়েছে, সেই খুনি ও পতিত সরকারের রাঘববোয়ালদের বিচারের মুখোমুখি না করে যেন কেউ সেফ এক্সিট নিতে না পারে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি না দিয়ে কারও এক্সিট নেই। এই সনদ বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।’

নির্বাচন ও জোট নিয়ে এনসিপির অবস্থান নিয়েও তিনি বলেন, ‘আমরাও মনে করি দ্রুত নির্বাচন হোক। যারা অভ্যুত্থানের চেতনায় সংস্কারের জন্য কাজ করবে, বিচারিকপ্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে— আমরা তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে যেতে পারি। তবে জোট হলেও এনসিপি অন্য কোনো দলের মার্কা বা নামে নির্বাচন করবে না। শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে।’ এবং আশা প্রকাশ করেন, ‘শাপলা প্রতীক আমরা পাবই এবং আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নেব।’

সংবাদ সম্মেলনের পরে সারজিস আলম নেত্রকোনা জেলা ও উপজেলা এনসিপি সমন্বয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে একই স্থানে সমন্বয় সভায় অংশ নেন; সেখানে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

 

আমার ক্যাম্পাস/এ এস

Link copied!