রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা রাখা হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই জারি করা সংশোধিত কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। এ পদ্ধতি অনুযায়ী, ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে—এই ৯৩ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ নেওয়া হবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের, আর ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের নেওয়া হবে।’
নতুন বিধিমালায় নারী কোটা ও জেলা কোটা রাখা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পর্যন্ত কোনও পরীক্ষায় একটিতে তৃতীয় শ্রেণি থাকলে যে কেউ আবেদন করতে পারবে না। মেধার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশের বাইরে সরকার নির্ধারিত ৭ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।’
নতুন শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫
গত ২৮ জুলাই সরকার ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে। ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ক্ষমতাবলে এই বিধিমালা জারি করা হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
নতুন বিধিমালার বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রমতে থানাভিত্তিক হবে। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে।
৭ শতাংশ কোটা ও বিশেষ বিধান
বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৭ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :