ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানি শুরু

আমার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানি শুরু

ছবিঃ সংগৃহীত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আবেদনগুলোর ওপর আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।

আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করে আপিলের অনুমতি দেন আদালত।

পরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজন এ বিষয়ে আপিল করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

পরে ২০০৫ সালে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। সেই আপিলের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেন, ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যেখানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। ৫ আগস্ট বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ২৩ অক্টোবর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই বিষয়ে আবেদন করেন।

এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

বর্তমানে এই সব আবেদন একসঙ্গে শুনানি করছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!