ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করল কলম্বিয়া

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করল কলম্বিয়া

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা, বিক্ষোভ, মুক্তির দাবি

ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) নৌবহরকে আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে এবং বহু দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে কলম্বিয়া।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো একে আন্তর্জাতিক অপরাধ আখ্যা দিয়ে দেশে নিযুক্ত সব ইসরায়েলি কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে করা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও স্থগিত ঘোষণা করেন। নৌযান আটকদের মধ্যে কলম্বিয়ার দুজন নাগরিকও রয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে এ ঘটনায়।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো চারটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঐক্যমঞ্চ—ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল গাজার উপকূল অবরোধ করে রেখেছে। এবার এই নৌবহর পৌঁছাতে পারলে তা হতো অবরুদ্ধ গাজা উপকূলে প্রথম আন্তর্জাতিক জাহাজের নোঙর।

বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া

মালয়েশিয়া: উমনো ইয়ুথ সংগঠন আটক মালয়েশিয়ান স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তি না দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুয়ালালামপুর সফর বাতিলের দাবি জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঘটনাটিকে মানবিকতার ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউভান গিল বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ অভিযানে আক্রমণ চালিয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানো।

তুরস্ক: দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়ে আটক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেছে।

আয়ারল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস এটিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বলেন, এটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের ওপর আলোকপাত করার একটি শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল।


ইউরোপে বিক্ষোভ

জাহাজ বহর আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইতালির নেপলস ও রোমসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়। নেপলসে বিক্ষোভকারীরা প্রধান রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। স্পেন, জার্মানি, গ্রিস ও তুরস্কেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!