যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান–আফগান সীমান্ত সংঘাত প্রশমনে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “আমি শান্তি স্থাপনে পারদর্শী।” সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই কথা বলেন তিনি।
গত শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পাকিস্তান–আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি এবং পাল্টা জবাবি কর্মসূচি চলে। পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, সংঘাতের জেরে ২৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন এবং দুই শতাধিক তালেবান ও সংশ্লিষ্ট যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরেই ট্রাম্প বারবার দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন সংঘাত সমাধানে ভূমিকা রেখেছেন — এমনকি নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবি করেছেন। পর্যবেক্ষকরা তার এসব দাবিকে অতিরঞ্জিত বলে মূল্যায়ন করেন।
সোমবার প্লেনে ওঠার সময় সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প পাকিস্তান–আফগান সীমান্তের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এটি “অষ্টম যুদ্ধ” তিনি সমাধান করেছেন এবং এখন আবারও তিনি “আরেকটি সমাধান করতে যাচ্ছেন” — কারণ, তার কথায়, “যুদ্ধ মিটিয়ে শান্তি স্থাপনে আমি দক্ষ এবং এটি করা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। আমি লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচাই।”
ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, নোবেল কমিটিকে সুবিচার করতে হবে; তিনি বলছেন, কিছু মুহূর্ত বা ঘটনা ২০২৪ নয়, ২০২৫ সালে ঘটেছে—এগুলোও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারত। ট্রাম্প বলেন, নিজে নোবেলের জন্য কাজ করেননি, জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই কাজ করেছেন।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি একাধিক দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত এক দিনের মধ্যে সমাধান করেছেন; এমনকি “শুল্কনীতি” আরোপ করেই তিনি কিছু জটিল দ্বন্দ্ব মিটিয়েছেন—তবে এই দাবিগুলো পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক গণমাধ্যমে খবর আছে, চলমান সংঘাতে দুই পক্ষই বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে এবং বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; পাকিস্তান তার পক্ষ থেকে কয়েকটি ভারতীয় ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যা ভারত অস্বীকার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :