ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

করাচি-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫

করাচি-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা

ছবিঃ সংগৃহীত

করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি শিপিং চালু করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি দুই দেশের জন্য এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন এই উদ্যোগে পণ্য পরিবহনে সময় ও ব্যয় উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জাতীয় পরিষদে জমা দেওয়া এক লিখিত জবাবে জানিয়েছেন—এই শিপিং পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহের সময় ২৩ দিন থেকে কমে মাত্র ১০ দিনে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ লজিস্টিক দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক ব্যয়ও কমাবে।

ইসহাক দার আরও জানান, বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে পাকিস্তানি রপ্তানির জন্য বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ পরিদর্শনের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে, যা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়। তিনি এটিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণের বড় অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এতে কাস্টমস প্রক্রিয়া দ্রুত হবে, ফলে পণ্য প্রবাহ আরও নির্বিঘ্ন হবে।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক গত ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া, চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় পাকিস্তান ২০০ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দারের মতে, চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী মাসগুলোতেও চাল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

দারের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ২০০-রও বেশি পাকিস্তানি কোম্পানি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে অংশ নিয়েছে। এতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও উৎপাদন খাতে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ আরও বিস্তৃত হয়েছে।

একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, শিপিং পরিষেবার পাশাপাশি দুই দেশ সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করার দিকেও কাজ করছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দুইটি পাকিস্তানি বেসরকারি বিমান সংস্থাকে ঢাকা–করাচি রুটে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিয়েছে। বর্তমানে ফ্লাইটের সময়সূচি ও সরবরাহ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আশা প্রকাশ করেছেন, এই উদ্যোগগুলো দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!