ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

সন্তান লালন পালনে যেসব ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি

বিবিধ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫

সন্তান লালন পালনে যেসব ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি

ছবিঃ সংগৃহীত

সন্তানকে চোখের সামনে বড় হতে দেখা নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে এই আনন্দের পথটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা অভিভাবকদের জন্য একটি বড় দায়িত্ব। ছোট ছোট কিছু ভুল, যা অনেক সময় অজান্তেই হয়ে যায়, সেগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সন্তানের স্বাস্থ্যকর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।

১. অতিরিক্ত শাসন করবেন না
সন্তান ভুল করতেই পারে—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় কঠোর শাসনের পথে গেলে সন্তান আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে। বারবার বকা খেতে খেতে তারা নিজের আবেগ প্রকাশে সংকোচ বোধ করে এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।

২. অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়
সন্তানের ফলাফল, আচরণ বা সামর্থ্য নিয়ে অন্য ভাইবোন, বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে তুলনা করলে তা হীনমন্যতা তৈরি করে। এতে তারা নিজস্ব দক্ষতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে, বিকশিত হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

৩. ভুল করলে স্বীকার করুন
বাবা-মায়েরও ভুল হতে পারে—এটা স্বীকার করা সন্তানকে শেখায় যে ভুল থেকে শেখাই জীবনের অংশ। আপনার কোনো সিদ্ধান্ত বা আচরণে ভুল হলে সন্তানের সামনে সেটা স্বীকার করুন। এতে সম্পর্ক গভীর হবে এবং সন্তানও ভুলের ভয় পাবে না।

৪. প্রশংসা করতে ভুলবেন না
শিশুদের ভালো কাজ—যেমন সময়মতো পড়তে বসা, সুন্দর লেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদি—প্রশংসা করা উচিত। এটা শুধু তাদের উৎসাহ বাড়ায় না, বরং ভবিষ্যতেও ভালো কিছু করার আগ্রহ জাগায়। উপেক্ষা করলে তারা একসময় ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

৫. সময় দিন, শুধু উপহার নয়
শুধু দামি খেলনা বা উপহার দিয়ে সন্তানের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাদের প্রয়োজন আপনার সময়, মনোযোগ এবং উপস্থিতি। প্রতিদিন কিছুটা সময় সন্তানকে দেওয়া—তা গল্প বলেই হোক বা শুধু পাশে বসেই—তার আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।

৬. সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিন
সন্তানের বয়স অনুযায়ী কিছু সিদ্ধান্ত তাদের নিজেকে নিতে দিন। যেমন—কোন জামাটি পরবে, কী খেলবে, কী খেতে চায় ইত্যাদি। এতে তারা ভাবতে শেখে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং স্বাধীনচেতা হয়ে ওঠে।

৭. নেতিবাচক কথা থেকে বিরত থাকুন
সন্তানের সামনে কাউকে অপমান করা, খারাপ ভাষা ব্যবহার বা অন্যের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা ঠিক নয়। এতে তারা ভুল বার্তা পায় এবং সেই আচরণ নিজের মধ্যেও গড়ে তুলতে পারে। তবে বাস্তব কিছু বিষয় সন্তানদের সামনে ব্যাখ্যা করে বলা যেতে পারে, তবে সেটাও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!