ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় দেরির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা।
মঙ্গলবার রাত ১১টার পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, এই কেন্দ্রে চারটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। গণনার প্রক্রিয়ায় প্রথমে হল সংসদের ব্যালট স্ক্যান করা হচ্ছে। ডাকসুর ব্যালটগুলোরও একটি স্ক্যানিং সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত গণনা শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্যালট বাক্সগুলো একত্র করে কেন্দ্রীয় স্থানে আনা হয়। এতে বিকেল ৫টার পর সময় লেগে যায়। এরপর ব্যালটগুলো আলাদা করে সাজানো এবং প্রক্রিয়াজাত করতে সময় লাগছে। যেহেতু ভোটাররা ছয় ধরনের ব্যালটে ভোট দিয়েছেন—ভিপি ও জিএস, এজিএস, সম্পাদক এবং সদস্যপদে—তাই সবগুলো আলাদা করে স্ক্যান ও যাচাই করতে হচ্ছে।
অধ্যাপক শামীম রেজা আরও জানান, এটা কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে নমুনা ব্যালট নিয়ে টেস্ট রান করা হয়, এরপর একাধিকবার যাচাই করে দেখা হয় সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কি না। তাই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে।
তার ভাষায়, “আমরা বিকেল চারটায় ভোট শেষ করেছি। ব্যালট বাক্সগুলো আনার পর সেগুলো আলাদা ও সাজানোর কাজ করতে হয়েছে। এর পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের প্রযুক্তি দলের হিসাবে, পুরো গণনা শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে, হয়তো মধ্যরাত পেরিয়ে যাবে।”
আপনার মতামত লিখুন :