ঢাকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাবের ‘ওভার দ্য বাউন্ডারি’ শীর্ষক কর্মশালা

পিসিআইইউ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫

পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাবের ‘ওভার দ্য বাউন্ডারি’ শীর্ষক কর্মশালা

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (পিসিআইইউ) মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওভার দ্য বাউন্ডারি’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) কনফারেন্স হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি রবিন দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত চৌধুরীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ও মিডিয়া ক্লাবের উপদেষ্টা প্রশান্ত কুমার শীল। কর্মশালায় দৈনিক সমকালের ক্রীড়া সম্পাদক সঞ্জয় সাহা পিয়াল এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার মো. মাযহারুল ইসলাম মিথুন ঘন্টাব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

তারা স্পোর্টস রিপোর্টিংয়ের বর্তমান প্রেক্ষাপট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে অতিথিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

দৈনিক সমকালের ক্রীড়া সম্পাদক সঞ্জয় সাহা পিয়াল বলেন, “স্পোর্টস রিপোর্টিং কেবল খেলার বিবরণ নয়, এটি এক ধরনের গল্প বলা। যেখানে প্রতিটি ম্যাচের ভেতরে থাকে মানবিক টানাপোড়েন, আবেগ, ব্যর্থতা ও বিজয়ের গল্প। একজন ভালো স্পোর্টস রিপোর্টারকে মাঠের স্কোরের বাইরে গিয়ে খেলোয়াড়ের মনস্তত্ত্ব, দর্শকের প্রতিক্রিয়া, এমনকি খেলার সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও ধরতে হয়।”

তিনি বলেন, “আজকের প্রজন্মের স্পোর্টস সাংবাদিকদের কেবল দ্রুততা নয়, গভীরতাও অর্জন করতে হবে। ফুটবল বা ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় খেলা হোক, কিংবা হকি বা অ্যাথলেটিকস, প্রত্যেক খেলার আলাদা ভাষা আছে। একজন রিপোর্টার যদি সেই ভাষা না বোঝেন, তাহলে পাঠক বা দর্শকের সাথে সংযোগ তৈরি হয় না।” 
তিনি আরও বলেন, “স্পোর্টস রিপোর্টিংয়ে সবচেয়ে জরুরি হলো অবজেক্টিভিটি ও নলেজ। আমরা শুধু ফলাফল জানাব না, বরং বলবো কেন জিতল, কেন হারল, কোন কোচিং স্টাইল বা ট্যাকটিকস প্রভাব ফেলেছে। এর জন্য দরকার ধারাবাহিক শেখা ও মাঠে সময় দেওয়া।”

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার মো. মাযহারুল ইসলাম মিথুন বলেন, “আজকের স্পোর্টস রিপোর্টিং শুধু মাঠের স্কোর জানানো নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্লেষণ, তথ্য যাচাই, প্রযুক্তি ও মানবিক গল্প বলার ক্ষমতা। স্পোর্টস রিপোর্টিং মূলত স্টোরি টেলিংয়ের পর্যায়ে পড়ে। যে যত ভালো গল্প বলতে পারে সে তত বেশি উপরে উঠতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, “নাগরিক সাংবাদিকতা ও নিউ মিডিয়ার কল্যাণে এখন মাঠের ভেতর-বাইরের অনেক খবরই সহজে পাওয়া যায়। আমরা যদি এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে পারদর্শী হই, তাহলে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে আরও কার্যকরভাবে খেলাধুলার সংবাদ পরিবেশন করতে পারব।”

কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং আধুনিক সাংবাদিকতার নানা দিক সম্পর্কে জানতে পারেন। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতায় সততা, নৈতিকতা ও বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার আহ্বানও জানান।

এসময় ক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ্ আব্দুল্লাহ আল রাহাত, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!