ঢাকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরে রঙের ছোঁয়া

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরে রঙের ছোঁয়া

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর সম্প্রতি নতুন রূপে সেজে উঠেছে রঙের ছোঁয়ায়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীলতা ও দলগত চেতনার প্রকাশ ঘটিয়ে দেয়ালপেইন্টিং কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এতে অংশ নেন সব ব্যাচের শিক্ষার্থী—অনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত, সিনিয়র ও জুনিয়র সবাই মিলে।

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে দেয়ালপেইন্টিং করা হলেও এ বছর তা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ঘিরে উদ্যোগ নেন ক্যাম্পাসকে নতুনভাবে সাজানোর। পুরো কার্যক্রমটি তত্ত্বাবধান করেছেন চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক রাসেল রানা এবং  সহকারী অধ্যাপক নাজমুন্নাহার কেয়া।

দায়িত্বে থাকা ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাইম মৃধা বলেন, “আগে সাধারণত সিনিয়ররাই কাজ করতেন, কিন্তু এবার আমরা সিনিয়র জুনিয়র সবাই একসাথে কাজ করেছি। তাদের মধ্যে ছিলেন পায়েল দাস, রবিন সাহা, প্রীতি শীল  হৃদয় হোসেন, বিদিশা অধিকারী আরো অনেকে।  অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে আরও রঙিন ও প্রাণবন্ত করে তুলতেই এই উদ্যোগ।”

দেয়ালচিত্রের মূল ডিজাইন লেআউট করেন  সহকারী অধ্যাপক রাসেল রানা। তবে বিশাল দেয়ালের আয়তন ও বৈচিত্র্যের কারণে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাবনা ও সৃজনশীলতা যোগ করে কাজকে আরও রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছেন। নির্দিষ্ট কোনো থিম না থাকলেও প্রতিটি অংশে ফুটে উঠেছে আনন্দ, ঐক্য ও রঙিনতার ছোঁয়া ।

পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে লেগেছে এক সপ্তাহ।প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। রং, ব্রাশ, দেয়ালের প্রস্তুতিসহ সব উপকরণ সরবরাহ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আনুমানিক ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা, যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দীর্ঘ সময় গরমে কাজ করাটা শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকের বাসা দূরে থাকায় প্রতিদিন উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি, তবুও দলগত প্রচেষ্টায় সফলভাবে শেষ হয় কাজটি। “সবাই মিলে একসাথে কাজ করার আনন্দটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি,” বলেন এক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী।

 ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রঙিন ক্যাম্পাসের ছবি, শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভরছে মন্তব্যবক্স।

অংশগ্রহণকারীদের মতে, দেয়ালচিত্র শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেনি, বরং শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্যম ও সহযোগিতার মনোভাব জাগিয়ে তুলেছে। “ক্যাম্পাসের দেয়ালগুলো এখন যেন আনন্দের প্রতীক। সবাই আরও অনুপ্রাণিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ নিতে চাই,” বলেন অংশগ্রহণকারীরা এক কণ্ঠে।

আমার ক্যাম্পাস/রিয়ন

Link copied!