ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

অক্সফোর্ডে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডির সুযোগ পেলেন জাবির সামিয়া

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫

অক্সফোর্ডে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডির সুযোগ পেলেন জাবির সামিয়া

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম আনিকা। তিনি অক্সফোর্ডের অর্থনীতি বিভাগের এমফিল-ডিফিল প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক্সে (মুলত পিএইচডি) ভর্তি হবেন।

ক্ল্যারেনডন ফান্ড স্কলারশিপের আওতায় সামিয়া আগামী পাঁচ বছর বার্ষিক প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ পাউন্ড স্টার্লিং সমপরিমাণ অর্থ পাবেন, যা তার টিউশন ফি ও জীবনযাপনের খরচ বহন করবে।

একাডেমিক সাফল্য

সামিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। অনার্সে তিনি ৩.৯২ সিজিপিএ পেয়ে বিভাগ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মাস্টার্সেও তার সিজিপিএ ৩.৯১। এছাড়া তিনি জিআরই পরীক্ষায় ৩৩১ (কোয়ান্ট ১৭০/১৭০) এবং আইইএলটিএস-এ ৮.৫ স্কোর অর্জন করেন।

গবেষণায় সক্রিয়তা

পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণায়ও যুক্ত ছিলেন সামিয়া। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্রকল্পে জামালপুরের কৃষকদের আচরণে জৈব সারের প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া আইসিটি বিভাগের HER Power Project, সমবায় অধিদপ্তরের নারীদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ একাধিক গবেষণায় অংশ নেন গবেষণা সহকারী হিসেবে।

South Asian Network on Economic Modeling (SANEM)-এও কাজ করেছেন সামিয়া। সেখানে তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, এসএমই খাত, উৎপাদনশিল্প ও জেন্ডার বাজেটিং।

কো-কারিকুলার কর্মকাণ্ডের মধ্যে তিনি জাবি অর্থনীতি শিক্ষার্থী সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেট অর্গানাইজেশন (জুডো)-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সামিয়া লিখেছেন, "এই সুযোগটি আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। অক্সফোর্ডে সরাসরি পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা আমার ছিল না। প্রথমে শুধু এমফিল ইন ইকোনমিক্সে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আবেদন প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এম-ডিফিল প্রোগ্রামের জন্যও বিবেচনা করা হয়। সেখান থেকেই সুযোগ পাওয়া।"

তিনি আরও জানান, অফার পাওয়ার পর বিভাগ ও সহপাঠীদের সহযোগিতা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ, মাস্টার্সের ফল প্রকাশের আগেই তাকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হয়েছিল। "শিক্ষক-সহপাঠীদের আন্তরিক সহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ফল প্রকাশ হয়। ইয়েল ছাড়ার সিদ্ধান্তে এ সহায়তা বড় ভূমিকা রেখেছে।"

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সামিয়া বলেন, "গত ছয় বছরে শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা, মেন্টরশিপ, ওয়ার্কলোডের মধ্যেও সুপারিশপত্র লেখা কিংবা পাশে থাকার মানসিকতা আমাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। তাদের প্রতি আমার আজীবনের কৃতজ্ঞতা।"

আমার ক্যাম্পাস/ঐশী ইসলাম

Link copied!