যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অভ্যন্তরে বেপরোয়াভাবে মোটরবাইক ড্রাইভিংয়ের সময় আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় দুটি বাইকসহ চার বহিরাগতকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরণে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত বহিরাগতরা যশোর শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বহিরাগতদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে স্বীকারোক্তি ও লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্তরা ক্যাম্পাসের ভেতরে জোরে শব্দ করে বেপরোয়াভাবে বাইক চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে তাঁরা বাইক স্টান্ট শুরু করে। যেকোনো মুহূর্তেই অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যেতে পারতো।
যবিপ্রবির প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য শিমুল জানান, বিকেলে দুইজন বহিরাগত মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে আনসার সদস্যরা থামার সংকেত দেন। কিন্তু তারা সংকেত উপেক্ষা করে ভেতরে চলে যায়। পরে নির্দেশ পেয়ে গেট বন্ধ করে তাদের বাইকসহ আটকে দেওয়া হয়। এই সময় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক নওশীন আমিন স্যার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোটরসাইকেলের চাবি জব্দ করার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে আটক হওয়া রাজীন নামে বহিরাগতদের একজন বলেন, আমরা মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য ভেতরে গিয়ে মোবাইল ফোনে কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। গত রাতে বাইকের সাইলেন্সার হারিয়ে যাওয়ায় শব্দ হচ্ছিল। এটা দেখে কয়েকজন আমাদের চলে যেতে বলে। তারপর আমরা চলে যাচ্ছিলাম, সেসময় এক স্যার এসে আমাদের আটকায় এবং প্রশাসনের হাতে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কিশোর কুমার সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হই। পরে অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি ও লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :