ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাংশ

আমার ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫

চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাংশ

ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর চার দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে একাংশ শিক্ষার্থী। ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, আগামী রবিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে গণজমায়েত করবেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আইডি ও বিভিন্ন শিক্ষার্থী গ্রুপে এই কর্মসূচির প্রচার চলছে। তবে আন্দোলনের মূল আয়োজক কারা, তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরেও রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—
১. সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা;
২. বোর্ড চ্যালেঞ্জে খাতা পুনঃনিরীক্ষণ নয়, পূর্ণ পুনর্মূল্যায়ন করা—যাতে এমসিকিউ, সিকিউ ও প্র্যাকটিক্যালের সব অংশ রিচেক করা হয়;
৩. ফেল করা বিষয়ের নম্বর আলাদাভাবে (এমসিকিউ, সিকিউ, প্র্যাকটিক্যাল) প্রদর্শন করা;
৪. সিকিউ ও এমসিকিউ মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে পাশের ব্যবস্থা করা।

চলতি বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ ২০০৪ সালে এর চেয়ে কম, অর্থাৎ ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ পাসের হার ছিল।

ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে—পাসের হার মাত্র ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ কম। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি। সেখানে এবার পাস করেছে ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী, গত বছর যা ছিল ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলেও ব্যাপক পার্থক্য দেখা গেছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ (গতবার ৯১ দশমিক ৩৩ শতাংশ), ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মানবিক বিভাগে সবচেয়ে কম ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফল প্রকাশের পর থেকেই হাজারো শিক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ‘ন্যায্য মূল্যায়ন চাই’ স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে।

এক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা বলেন, “শিক্ষার্থীদের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে আমরা অবগত আছি। তারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলাফল ঘিরে শিক্ষার্থীদের হতাশা স্বাভাবিক। তবে আন্দোলনের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আস্থা বজায় থাকে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!