ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জোড়াতালি দিয়ে চলছে জবির একাডেমিক কার্যক্রম।

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫

জোড়াতালি দিয়ে চলছে জবির একাডেমিক কার্যক্রম।

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থান ও অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের অনেক দিক এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি।

এ প্রসঙ্গে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন যে, বিভাগটিতে ছেলেদের জন্য কোনো কমন রুম না থাকায় তারা বিশ্রাম ও আলোচনার জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ল্যাবের প্রযুক্তিগত মানও ন্যূনতম পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন—ল্যাবে দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বেসিক থেকে অ্যাডভান্স পর্যায়ের কম্পিউটার কোর্স চালুর পাশাপাশি উচ্চগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। তারা আরও চান, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ফটোকপি মেশিন স্থাপন এবং একটি ই-লাইব্রেরি গড়ে তোলা হোক, যেখানে সকল কোর্সের মেটেরিয়ালের সফট কপি সংরক্ষিত থাকবে।

এছাড়া ৪০৩ ও ১০০৩ নম্বর শ্রেণিকক্ষের ছোট পরিসর, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় পানির ফিল্টারের অভাব এবং টয়লেটে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রীর অনুপস্থিতিও শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন ভোগান্তির কারণ। তাদের মতে, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিলে পাঠদানের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান ও কালচারাল ক্লাবকে সক্রিয় করে নিয়মিত ট্যালেন্ট হান্ট, শিক্ষা সফর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

গবেষণার সুযোগ বাড়াতে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের স্বনামধন্য জার্নাল ও ChatGPT-সহ বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) টুলসের সাবস্ক্রিপশন গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, প্রতি মাসে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেমিনার আয়োজন, অভিযোগ বক্স স্থাপন এবং প্রতিটি কোর্স শেষে ফিল্ডওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের দাবিনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে—ল্যাব ফি ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আনা, ছেলেদের কমন রুম, উচ্চগতির ওয়াই-ফাই, ই-লাইব্রেরি, পানির ফিল্টার, টয়লেটে টিস্যু বক্স এবং সক্রিয় ক্লাব কার্যক্রম নিশ্চিত করা জরুরি।

শিক্ষার্থীদের এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়িত হলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ আরও আধুনিক, গবেষণাভিত্তিক ও শিক্ষাবান্ধব হয়ে উঠবে—যা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এখন প্রয়োজন প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ ও আন্তরিক মনোযোগ।

আমার ক্যাম্পাস/মুজাহিদুল ইসলাম

Link copied!