যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি (জিইবিটি) বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. এ. এম. স্বরাজ।
শনিবার (১১ ই অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে ড. এ. এম. স্বরাজকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
জিইবিটি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে ড. এ. এম. স্বরাজ তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমরা সকলেই জানি একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার কোয়ালিটি এডুকেশন উপর। শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জনই নয় বরং সমন্বিত শিক্ষা ও বিষয় ভিত্তিক ব্যাপক দক্ষতার অর্জন, নৈতিক মূল্যবোধ এর চর্চা এবং সর্বোপরি জীবনমুখী -সমসাময়িক- সমন্বিত জ্ঞান অর্জনই হলো প্রকৃত কোয়ালিটি এডুকেশন। জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃত কোয়ালিটি এডুকেশন পায় আমি আমার সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়েই সে চেষ্টা করবো।
এই দায়িত্ব কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নাকি কাজের সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ড. এ. এম. স্বরাজ বলেন, আমার এই দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ দুইটাই আছে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ না থেকে তারা চতুর্থ ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লব (Fourth and fifth Industrial Revolution) এর স্রোতে সূচারুভাবে চলতে সক্ষম এবং সভ্য মানবিক গুণাবলিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠুক এবং তাদের হাতেই থাকুক আগামী দিনের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে দক্ষ রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দানের উপযোগী ছাত্র তৈরি করাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছি।
শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে তারা যেন তাদের পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগকে কাজে লাগায়। তারা যেন সঠিক ভাবে পড়াশোনা করে তাদের দায়িত্ব পালন করে এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যায়। পাশাপাশি আমার সহকর্মী যারা আছেন তারা সবাই অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষক ও মানসম্পন্ন বিজ্ঞানী। তারা সবসময়ই ভাল গ্রাজুয়েট তৈরীতে অবদান রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও রাখবেন। সকলের সাথে মিলে-মিশে একসাথে এই বিভাগকে আমরা আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাব।
উল্লেখ্য, ড. এ. এম. স্বরাজ দক্ষিণ কোরিয়ার চুংনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :